Help line 01755-660522

Search
লেজার ট্রিটমেন্টের আদ্যোপান্ত

রূপচর্চায় যখন ঘরোয়া সমাধান আর বাজারের কেমিক্যাল প্রোডাক্ট খুব বেশি একটা কাজে দেয় না। তখন নিতে হয় ভিন্ন ব্যবস্থা। আর বিকল্প ভাবনা ভাবতে গেলে প্রথমেই আসে লেজার ট্রিটমেন্টের কথা। সৌন্দর্যচর্চায় এক ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে লেজার ট্রিটমেন্ট। মূলত এটি এক ধরনের ক্লিনিক্যাল ট্রিটমেন্ট। যার মাধ্যমে স্কিন লিফটিং, টাইটেনিং, অবাঞ্ছিত লোম দূর করা, ডার্কস্পট, মেছতা ও স্ট্রেচমার্ক দূর করা, গ্লোয়িং ও বেবি স্কিন, বডি শেইপ – সবই করা সম্ভব। কাটাছেড়াবিহীন ও ব্যথামুক্ত হওয়ায় লেজার ট্রিটমেন্টের গ্রহণযোগ্যতা দিনকে দিন বেড়েই চলছে। আজকের আয়োজনে থাকছে লেজার ট্রিটমেন্টের আদ্যোপান্ত।

লেজার কি?

লেজার ট্রিটমেন্ট একটি আধুনিক ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি। যা অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে করা হয়ে থাকে। ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন লেজারের মাধ্যমে এই ট্রিটমেন্ট করা হয়ে থাকে। তাই, এটি নির্ভরযোগ্য, উপযোগী এবং ব্যথামুক্ত একটি ট্রিটমেন্ট।

লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে মূলত নতুন স্কিন প্রতিস্থাপন করা হয়ে থাকে। লেজার দিয়ে মূলত স্কিনে ডিরেক্ট হিট দেয়া হয়। লেজারের রশ্মি ত্বকের উপরের স্তর ধ্বংস করে ফেলে। একইসাথে, এটি ত্বকের ভেতরের স্তরটিকে উত্তপ্ত করে তোলে। ফলে সময়ের সাথে সাথে ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং স্কিনটোন ও টেক্সচার উন্নত হয়।

অ্যাবলেটিভ এবং নন-অ্যাবলেটিভ – দুটি উপায়েই লেজার ট্রিটমেন্ট করা হয়ে থাকে। মূলত ডার্মাটোলজিস্টই আপনার ত্বকের কন্ডিশন ও টাইপ অনুযায়ী আপনাকে সাজেস্ট করবে ঠিক কোন উপায়টি আপনার জন্য প্রযোজ্য ও উপযোগী। অ্যাবলেটিভ লেজারের মধ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বা এরবিয়াম অন্তর্ভূক্ত থাকে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড লেজার রিসারফেসিং ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে স্কারস, মোল এবং রিঙ্কেলস দূর হয়। এরবিয়াম ফাইন লাইনস, রিঙ্কেলস এবং সুপারফিশিয়াল লাইনস দূর করতে কার্যকর। অ্যাবলেটিভ লেজার ত্বকের বাইরের স্তরটিকে সরিয়ে দেয়।

আর নন-অ্যাবলেটিভ লেজারে ত্বকের কোন স্তর না সরিয়ে বরং নতুন স্কিন প্রতিস্থাপন করা হয়। ফ্র্যাকশনাল লেজার ও প্লাসড লেজার এগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। রোসেসিয়া, ব্রণ-সম্পর্কিত ত্বকের জন্য নন-অ্যাবলেটিভ লেজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

লেজার ট্রিটমেন্টের ক্ষেত্র

রিঙ্কেলস, বলিরেখা, ব্রণ, ব্রণের দাগ, মেছতা, ডার্কস্পট, মুখের অবাঞ্ছিত লোম, মোল, স্ট্রেচমার্ক এবং বডি শেপিং – সবই করা সম্ভব লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে। তবে লেজার ট্রিটমেন্ট দীর্ঘস্থায়ী একটি প্রক্রিয়া। অন্তত কয়েকটি সেশনের প্রয়োজন পড়ে লেজার ট্রিটমেন্টের সুফল পেতে।

রিঙ্কেলস ও বয়সের ছাপ

বয়স বাড়তে শুরু করলে স্কিনের কোলাজেনের মাত্রা কমতে থাকে এবং ত্বকের চামড়া ধীরে ধীরে কুঁচকে ও ঝুলে যেতে শুরু করে। ফলে অকালেই স্কিনে দেখা দেয় বয়সের ছাপ। আর বয়সের ছাপ দূর করতে ত্বককে উজ্জ্বল ও তারুণ্যময় করতে লেজার ট্রিটমেন্ট অত্যন্ত কার্যকর একটি পন্থা। বায়োজিনে আছে Advanced Bio Hydra Facial. যা রিঙ্কেলস ও বয়সের ছাপ দূর করে গ্লোয়িং স্কিন দেয় প্রথম সেশনেই।

ব্রণ ও ব্রণের দাগ

ব্রণ ও ব্রণের ক্ষত এবং দাগ নিয়ে কমবেশি সবাইই থাকে বিব্রত! লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ব্রণ ও ব্রণের দাগের স্থায়ী সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। ব্রণমুক্ত ও দাগহীন ত্বকের যত্নে লেজার ট্রিটমেন্ট অত্যন্ত কার্যকর। ব্রণের সহজ সমাধানে বায়োজিনে আছে Dr. Light & Plasma Therapy.

স্কিনের কালো দাগ ও ক্ষত

অনেকের স্কিনেই রোদে পোড়ার কারণে অথবা অন্যান্য স্কিনের প্রবলেমের কারণে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এসব ক্ষত ও দাগ ত্বকের সৌন্দর্যতাকে নষ্ট করে ফেলে। লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই নিখুঁত ও উজ্জ্বল মসৃণ ত্বক পাওয়া সম্ভব। স্কিনের কালো দাগ আর ক্ষত দূর করে স্কিনকে মসৃণ করতে বায়োজিনে রয়েছে Revit MCD.

মেছতা ও ডার্কস্পট

মেছতা আর ডার্কস্পটের জেদি ও গাঢ় দাগ স্কিনে অনুজ্জ্বল ও নিস্তেজ ভাব আনে। লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে অতি সহজেই মেছতা ও ডার্কস্পটের গাঢ় ও জেদি দাগ দূর করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বায়োজিনে পাবেন Advanced EPN Treatment. যা আপনার স্কিনের মেছতা ও ডার্কস্পট দূর করে স্কিনকে দিবে মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা!

অবাঞ্ছিত লোম দূর করা

ঠোঁটের উপরের লোম ও মুখের ফেসিয়াল হেয়ার এবং শরীরের অবাঞ্ছিত লোম আপনার সৌন্দর্যকে নষ্ট করে। কিন্তু এসব অপসারণে রেজার, ওয়েক্সিং কিংবা শেভিং ব্যথাদায়ক এবং যন্ত্রণাদায়ক। তবে লেজার ট্রিটমেন্ট একদমই ব্যথামুক্ত এবং নিরাপদ। তাই, আপনার সৌন্দর্য বিকাশে অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে বায়োজিনে আছে Bio Laser Treatment. যা আপনার স্কিনকে করে মসৃণ, উজ্জ্বল ও তারুণ্যময়।

স্টেচমার্ক রিমুভাল

হরমোনের পরিবর্তনসহ নানাবিধ কারণে স্কিনে স্ট্রেচমার্ক দেখা দেয় পুরুষ বা নারী, কমবেশি সবারই। স্ট্রেচমার্ক দূর করতে বায়োজিনে আছে কার্যকরী সমাধান ইতালিয়ান Mesotech এর Stretch Removal থেরাপি। যা স্কিনের যে কোন স্থানের স্ট্রেচমার্ক দূর করে। আর স্কিনকে করে দাগহীন ও মসৃণ।

হেয়ার রিগ্রোথ

চুল পড়া চিন্তায় থাকে কমবেশি সকলেই। তবে লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে চুল পড়া কমিয়ে আনা এবং পুনরায় নতুন চুল গজানোতে সাহায্য করে। মাইক্রোনিডলিং পদ্ধতিতে Global Meso Hair সিরাম স্ক্যাল্পে প্রয়োগ করা হয়। ফলে স্ক্যাল্পে নতুন চুল উঠে আর চুলের ঘনত্ব ও বৃদ্ধি বাড়িয়ে চুলকে করে ঘন কালো, মজবুত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

এছাড়াও, লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ফেইস লিফটিং, টাইটেনিং, বডি স্লিমিং ইত্যাদির সহজ সমাধানও লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে করা সম্ভব।

তাহলে এখন কমেন্টে বলুন তো আপনার ঠিক কোন লেজার ট্রিটমেন্টটি করা দরকার?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *