Help line 01755-660522

Search
সানস্ক্রিন নিয়ে যত ভুল ধারণা

আমাদের ত্বকে যত ধরণের সমস্যা দেখা দেয় সেসবের পেছনে অনেকটাই দায়ী সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি। এমনকি সূর্যের ক্ষতিকর এই রশ্মির কারণে স্কিন ক্যানসার হবারও সম্ভাবনা থাকে। তাই সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচতে ত্বক সচেতন মানুষ সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। তবে সানস্ক্রিন মাখলেই যে রোদের এই তীব্র তাপ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখা যায় – বিষয়টা মোটেও এমন নয়। আবার অনেকেই এমনও মনে করে যে রোদ উঠলেই কেবল সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।

কিংবা ঘরে থাকলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার কোনো দরকার নেই। অথবা সানস্ক্রিন কেবল ফেইসেই ব্যবহার করতে হবে। এমনই অসংখ্য ধারণা রয়েছে লোকজনদের সানস্ক্রিন নিয়ে। যেগুলোর বেশিরভাগই ভুল ধারণা। আর আজকের আয়োজনে আমরা এই ‘মিথ বাস্টার’ গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করবো। উপকারী জিনিস যেন আপনার অপকারে না আসে সেই জন্য এই ভুল ধারণাগুলো আগে জেনে নেয়া উচিত। যেন ভুল এড়িয়ে আপনি সঠিক রূপচর্চা করতে পারেন। আর আপনার ত্বক থাকে সবসময় সতেজ, প্রাণবন্ত ও মসৃণ।

এসপিএফ (SPF) যত বেশি সুরক্ষা তত বেশি!

SPF এর পূর্ণরূপ হচ্ছে সান প্রটেক্টর ফ্যাক্টর। সানস্ক্রিন ক্রিম ছাড়া রোদে গেলে আপনার ত্বক মাত্র ২০ মিনিটেই পুড়ে যায়। এই পুড়ে যাওয়ার সময়টাকেই বর্ধিত করে দেয় SPF। এই SPF এর আবার বিভিন্ন মাত্রা আছে। যেমন – SPF 15, SPF 30, SPF 50 এবং SPF 100. কিন্তু একটা ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে যে, এই SPF এর মাত্রা যত বেশি সুরক্ষা হয়তো তত বেশি। তবে এখানে কথা আছে। যেমন – SPF 30 আল্ট্রা ভায়োলেট বি বা ইউভিবি এর ৯৭% শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করে দেয়। আবার, SPF 50 আল্ট্রা ভায়োলেট বি বা ইউভিবি এর ৯৮% শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করে দেয়। কোনো সানস্ক্রিনই পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারবে না। তাই, সানস্ক্রিনের SPF এর উপর লক্ষ্য না রেখে দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার করলেই হলো, নির্দিষ্ট কোনো পরিমাপ নেই!

এটাও সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সানস্ক্রিন ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট পরিমাপের জন্য নিয়ম কানুন রয়েছে। খুব অল্প পরিমানে ব্যবহার করলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি খুব সহজেই ত্বকের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। কিন্তু মুখ, ঘাড় এবং অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে মোটা লেয়ারে সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে সেটা দীর্ঘমেয়াদী হিসেবে কাজে দেয়। আর বাইরে বের হবার আধা ঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটা অবশ্যই দরকার। এবং বেশিক্ষণ সূর্যের নীচে থাকলে দুই ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটাও জরুরী।

সূর্যের দেখা নাই, তাই সানস্ক্রিনেরও দরকার নেই!

আকাশে সূর্য নেই, আকাশ মেঘলা; তাহলে আর সানস্ক্রিন ব্যবহার করার কি দরকার? এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কেননা, সূর্য থাকুক আর নাইবা থাকুক সানস্ক্রিন অবশ্যই জরুরী। কেননা, সূর্য দেখা না গেলেও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ঠিকই ত্বকের ক্ষতি করে। তাই, রোদ হোক বা বৃষ্টি সানব্লক মাস্ট বি।

যাদের স্কিন অনেক বেশি ডার্ক, তাদের সানস্ক্রিন ব্যবহার করার দরকার নেই!

সাধারণত যারা ফর্সা ত্বকের অধিকারী তাদের স্কিনে সানট্যান খুব ভালোভাবে দেখা যায়। এজন্য অনেকেই এমন ধারণা পোষণ করে যে, যাদের স্কিন অনেক বেশি ডার্ক তাদের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করার কোনো দরকার নেই। কিন্তু সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ফর্সা বা ডার্ক স্কিন হিসেবে কাজ করে না। এটা ভুল ধারণা। তাই, সব ধরণের স্কিনের জন্য সানস্ক্রিন অবশ্যই।

সানস্ক্রিন ক্রিম কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ হয় না!

স্কিনকেয়ারে প্রতিটা জিনিসই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। কিন্তু অনেকেই ভাবে যে, সানস্ক্রিন ক্রিম হয়তো কখনো মেয়াদোত্তীর্ণ হয় না। কিন্তু এটাও প্রচলিত আরেকটি ভুল ধারণা। কেননা, সানস্ক্রিনে জিঙ্ক অক্সাইড ব্যবহার করা হয় যা একটা নির্দিষ্ট সময় পরে এর কার্যকারিতা হারায়। তাই, অন্যান্য প্রোডাক্টের মতোই সানস্ক্রিন ক্রিমও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। তাই, প্রোডাক্টের লেবেলে থাকা তারিখ দেখে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করাই উচিত।

সানস্ক্রিন ক্রিমের বদলে জামাকাপড় ব্যবহার করলেই হয়!

হ্যাঁ , নিঃসন্দেহে জামাকাপড় সান ড্যামেজ থেকে সেফটি দেয়। তবে সেটা কোনোভাবেই সানস্ক্রিন ক্রিমের পরিবর্তে হতে পারে না। সাদা কিংবা প্যাস্টেল শ্যাডের জামাকাপড়ে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি খুব সহজে প্রবেশ করতে পারে না। পরিবর্তে রঙিন এবং বিশেষ করে কালো কাপড়ে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি অতি দ্রুত প্রবেশ করে এবং ত্বককে প্রভাবিত করতে পারে। একইভাবে, লুজ বা ঢিলেঢালা আউটফিটের চাইতে টাইট বা আঁটসাঁট জামাকাপড় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আটকে দেয়। তাই, জামাকাপড়ের পাশাপাশি সানস্ক্রিন ক্রিমও জরুরী।

সানস্ক্রিন ক্রিমের কারণে ভিটামিন ডি ত্বক গ্রহণ করতে পারে না!

সূর্য থেকে ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেই ভেবে থাকে যে, সানস্ক্রিন ক্রিমের কারণে ভিটামিন ডি ত্বক গ্রহণ করতে পারে না। কিন্তু এটাও ভুল। কেননা, সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহারের পরেও ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি সরবরাহিত হয়।

সানস্ক্রিন ক্রিমের দরকার নেই, মেকআপই যথেষ্ট!

SPF 30 সমৃদ্ধ একটি ফাউন্ডেশনই যথেষ্ট সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে। কিন্তু নাহ, সেটা কখনোই সঠিক ধারণা নয়। কেননা, মেকআপের এই SPF আপনাকে খুব অল্প সময়ই সুরক্ষা দিতে পারবে। তবে দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা দিতে সানস্ক্রিন ক্রিম অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

তাহলে এখন কমেন্টে জানিয়ে দিন তো আপনিও কি এমন ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করতেন কিনা। আর হ্যাঁ, এসব ভ্রান্ত ধারণা থেকে মুক্ত হয়ে নিজের স্কিনকে সুরক্ষা দিন সানব্লকের মাধ্যমে। বায়োজিনে আছে উন্নতমানের সব ডার্মো কসমেটিকস। যেগুলো ডার্মাটোলজিস্ট স্বীকৃত এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আওতাভূক্ত। তাই, এসব ডার্মো কসমেটিকস আপনার স্কিনের সব সমস্যা প্রতিরোধ এবং সমাধানে সাহায্য করবে। বায়োজিনের সানব্লকের মধ্যে আছে – Novaclear Urban Sunblock, Bio Care BB CreamBio Care Whitening Sunscreen Cream, এবং Bio Care Powder Sunblock.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *